লিফ মাইনর বা পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা অথবা ম্যাপ পোকার লক্ষণ প্রতিকারের সহজ কৌশল-কৃষিসেবা২৪
লিফ মাইনর (Leaf Miner) পোকার আক্রমনে শসা টমেটো, লাউ, কুমড়া, লেবু সহ বিভিন্ন সবজি গাছের পাতায় হাতের লেখার মতো রেখা রেখা সাদা দাগ থাকে। এগুলো গাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর সুড়ঙ্গ পোকার আক্রমণ।
লক্ষণ:
এ পোকার কীট রাতে কচি পাতার উপ ত্বকের নীচে গর্ত খুড়ে আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে সবুজ অংশ কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলে। পাতা কুকড়ে যায়, বিবর্ণ হয়ে শুকিয়ে ঝড়ে যায়, গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। পাতার সুড়ঙ্গের ভিতর পোকার কীড়া দেখা যায়, আক্রান্ত পাতায় ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াল ক্যাংকার রোগাক্রান্ত হয়।
প্রতিকার:
* প্রাথমিক পর্যায়ে পুরাতন ছাইয়ের সাথে অল্প পরিমাণ কেরোসিন মিশিয়ে গাছ এবং পাতায় ছিটিয়ে দিলে পোকার আক্রমণ কমে যায়। হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করেও পোকার আক্রমণ দমন করা যায়। এছাড়া তামাকের গুল+ উকুন নাশক শ্যাম্পু পানিতে গুলে মাঝে মাঝে স্প্রে করে দিয়েও পোকা দমন করা যায়।
* ডিটারজেন্ট পাউডার ৫ গ্রাম/ লিটার পানি+নিম/ বিষকাঠাঁলী/ ধুতরা/আতা/পেঁপে/ নিশিন্দা/জবা/গাদা ফুল ১ কেজি পাতা থেতিয়ে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেকে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে স্প্রে করা।
* এছাড়া জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন, ইকোম্যাক + বায়োনিম প্লাস লেবেলের গায়ে নির্দেশনা মতে পানিতে মিশিয়ে ৫ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করে দিলেও পোকা দমন হবে।
* আক্রমণ বেশি হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের ( রেলোথ্রিন/ রিপকট/ কট/সিমবুশ/ডেসিস ) ১ মিলি হারে প্রতি লিটার পানিতে অথবা ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২ মিলি) অথবা ক্লোরপাইরিফস জাতীয় কীটনাশক (রিজেন্ট ১.৫ মিলি) ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ৭ দিন পরপর ২/৩ বার। কিটনাশক স্প্রে করার পর কমপক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে কোন সবজি অথবা ফল খাওয়া যাবে না।